ক্রিয়েটিনিনের কোন নির্দিষ্ট মানে ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হয়, এমনটা বলা যাবে না। ডায়ালাইসিসের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কেবল ক্রিয়েটিনিনের মানই নয়, আরও অনেকগুলি কারণ বিবেচনা করা হয়।
ক্রিয়েটিনিন কী? ক্রিয়েটিনিন হল একটি বর্জ্য পদার্থ যা শরীরের পেশী থেকে তৈরি হয়। কিডনি স্বাভাবিকভাবেই এই বর্জ্য পদার্থকে রক্ত থেকে ফিল্টার করে এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দেয়। যখন কিডনি ভালোভাবে কাজ করে না, তখন রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যায়।
ডায়ালাইসিসের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কী কী বিবেচনা করা হয়?
- ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা: হ্যাঁ, ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা একটা গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক। যদি ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা খুব বেশি বেড়ে যায়, তাহলে বোঝা যায় কিডনি ভালোভাবে কাজ করছে না।
- গ্লোমেরুলার ফিল্ট্রেশন রেট (GFR): GFR হল কিডনির ফিল্টার করার ক্ষমতার একটি পরিমাপ। GFR কমে গেলে বোঝা যায় কিডনি কাজ করার ক্ষমতা হারাচ্ছে।
- অন্যান্য রক্ত পরীক্ষার ফলাফল: ইউরিয়া নাইট্রোজেন, পটাশিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি রক্ত পরীক্ষার ফলাফলও বিবেচনা করা হয়।
- লক্ষণ: শ্বাসকষ্ট, পায়ে ফোলা, বমি বমি ভাব, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিলে ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হতে পারে।
- রোগীর মোট স্বাস্থ্য: রোগীর বয়স, অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা, এবং জীবনযাত্রার মানও বিবেচনা করা হয়।
কখন ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হতে পারে?
- যখন কিডনি কার্যকারিতা 15% বা তার কম হয়ে যায়।
- যখন রক্তে ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন, পটাশিয়াম ইত্যাদির মাত্রা খুব বেশি বেড়ে যায়।
- যখন শরীরে অতিরিক্ত তরল জমে যায় এবং ফুলে যায়।
- যখন শ্বাসকষ্ট, বমি বমি ভাব ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয়।
মনে রাখবেন:
- ডায়ালাইসিসের সিদ্ধান্ত ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে।
- কোন চিকিৎসা পদ্ধতি আপনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত, তা নির্ধারণ করার জন্য একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।