কিডনির পাথর নিয়ে কিছু নিয়মিত জিজ্ঞাসা।

প্রশ্নঃ কিডনীর পাথর কি মানুষের হয় ?

উত্তরঃ  না, মানুষের ছাড়াও অন্য কিছু প্রানীর কিডনীতে পাথর হয়।

প্রশ্নঃ কিডনীতে কেন পাথর হয়?

উত্তরঃ  সঠিক কারণ এখনও  মানুষের অজনা।

১. ধারনা করা হয় যাদের কিডনীতে পাথর হয় তাদের রক্তে পাথর হওয়ার উপাদান ক্যালসিয়াম, অক্সালেট, ফসফেট ইত্য়াদি বেশী থাকে  অথবা পাথর না হওয়ার জন্য যে প্রতিরোধ ব্যবস্থায় দুর্বলতা থাকে।

২. কিডনীতে জন্মগত কিছু ত্রুটি থাকলে সেসব মানুষদের কিডনীতে পাথর হওয়ার প্রবণতা থাকে।

প্রশ্নঃ  কিডনিতে পাথর একবার হলে কি আবার অবশ্যই হবে?

 উত্তরঃ না সবার হবে না। প্রায় ৫০% মানুষের ৫ বছরের মধ্যে আবারো পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

প্রশ্নঃ  কিডনি পাথরের লক্ষণসমূহ কি কি ?

উত্তরঃ ১. ব্যথা প্রধান বৈশিষ্ট্য । বৃথা কখনো কখনো তীব্র হয়, কোমর থেকে কুচকির (Loin To Groin) দিকে যেতে পারে সাথে সাথে বাম দিক থেকে দূর হতে পারে ।

২। বারবার প্রস্রাবে ইনফেকশন জ্বালাপোড়া ।

৩। প্রস্তাবে রক্ত যেতে পারে ।

প্রশ্নঃ  সব কিডনি পাথরের কি অপারেশান দরকার হয়?

 উত্তরঃ  না, পাথরের সাইজ যদি ছোট হয় এবং সেটা যদি কোন , সমস্যা তৈরি না করে, যেমন ব্যাথা,ইনফেকশন, রক্ত যাওয়া) তাহলে অপারেশান না করে, নিজে নিজে বের হয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করা যায়।

কিডনী নালীঃ (Ureter) এর পাথর বের হয়ে যাওয়ার জন্য কখনো কখনো ওষুধ এর পরামর্শ দেওয়া হয়।

প্রশ্নঃ  কিডনির পাথরের চিকিৎসা জন্য আধুনিক কি কি ব্যবস্থা আছে?

উত্তরঃ  ১। Percutaneous Nephrolithotomy (PCNL): ছোট ছোট ছিদ্র  করে লেজার বা অন্য কোন যন্তের সাহায্যে পাথর  টুকরো টুকরো করে বের করে হয়।

২।  Retrograde Intrarenal Surgery (RIRS)   ছিদ্র ছাড়া প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে (Ureter) এর মধ্য দিয়ে চিকন যন্ত্র ঢুকিয়ে লেজারের সাহায্যে পাথর ভেঙে বের করা ।

৩. Extracorporeal Shock Wave Lithotripsy (ESWL): শরীরের বাইরে থেকে শক ওয়েব (Shock Wave) দিয়ে পাথর ভেঙ্গে দেওয়া যেন যেগুলি প্রস্রাবের সঙ্গে ধীরে ধীরে বের হবে ।

৪। ল্যাপাস্কপিক সার্জারীঃ পেটে ছিদ্র করে, কিছু কিছু পাথরের জন্য এই ব্যবস্থা কার্যকরী।

৫। Ureteroscopy/Ureterorenoscopy (URS): কিডনির নালীতে (Ureter) পাথর থাকলে ওই যন্ত্রের সাহায্যে প্রস্রাবের রাস্তা্য যন্ত্র  ঢুকিয়ে পাথর বের করা হয়। 

প্রশ্নঃ   কিডনি পাথর প্রতিরোধের জন্য পরামর্শঃ

উত্তরঃ

  • কমপক্ষে ২.৫ লিটার প্রস্রাব হয়। আমাদের মানুষদের জন্য দেশের সাধারণত দৈনিক ৩.৫থেকে ৪ লিটার পানি পান করলে ২.৫ লিটার প্রস্রাব হবে।
  • Non-Dairy Animal Protein মাংস, মাছ, ডিম কম খাবেন।
  • ফল ও শাক-সবজি বেশি খাবেন।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করবেন, শরীরের ওজন  নিয়ন্ত্রণে রাখবেন।
  • প্রস্রাবে ইনফেকশন কিডনী পাথরের ঝুকি বাড়ায়, ইনফেক শন এড়াতে চেষ্টা করবেন।
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখবেন।

 

Scroll to Top

Make An Appointment?