কিডনিতে পাথরের আকারের উপর ভিত্তি করে অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় না। অন্যান্য অনেক ফ্যাক্টরও বিবেচনা করা হয়।
কিডনিতে পাথরের চিকিৎসার জন্য বিবেচনা করা ফ্যাক্টর:
- পাথরের আকার: বড় পাথরের চেয়ে ছোট পাথর সাধারণত ওষুধ বা শকওয়েভ থেরাপি দিয়ে বের করা সম্ভব।
- পাথরের অবস্থান: কিডনির কোন অংশে পাথরটি অবস্থিত, তার উপর নির্ভর করে চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়।
- পাথরের সংখ্যা: একাধিক পাথর থাকলে চিকিৎসা পদ্ধতি ভিন্ন হতে পারে।
- রোগীর স্বাস্থ্য: রোগীর মোট স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যাও বিবেচনা করা হয়।
- পাথরের ধরন: পাথরের রাসায়নিক গঠন চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
- লক্ষণ: লক্ষণের তীব্রতা এবং ধরনও চিকিৎসার সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে।
কিডনিতে পাথরের চিকিৎসার সাধারণ পদ্ধতি:
- ওষুধ: ছোট পাথরের ক্ষেত্রে ওষুধি (ESWL):** এই পদ্ধতিতে শকওয়েভ ব্যবহার করে পাথরকে ছোট টুকরো করে ফেলা হয়।
- ইউরেটেরোস্কোপি: একটি ছোট যন্ত্রের মাধ্যমে পাথরকে ভেঙে বা সরিয়ে নেওয়া হয়।
- সার্জারি: বড় বা জটিল পাথরের ক্ষেত্রে সার্জারি করা হতে পারে।
কখন অপারেশন করার প্রয়োজন হতে পারে:
- যখন পাথর খুব বড় হয়।
- যখন পাথর কিডনিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
- যখন পাথর সংক্রমণের কারণ হচ্ছে।
- যখন অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতি কাজ করছে না।
মনে রাখবেন:
- কিডনিতে পাথরের চিকিৎসা ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে।
- কোন চিকিৎসা পদ্ধতি আপনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত, তা নির্ধারণ করার জন্য একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।